Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd অক্টোবর ২০২৪

চেয়ারম্যান

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন।

 

মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের একটি স্বনামধন্য মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে তারুণ্যদীপ্ত মেধাবী অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করে ০৯ জুন ১৯৯২ সালে ২৬তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। কমিশন পরবর্তী'তে তিনি ইস্ট বেংগল রেজিমেন্টের ৯ম ব্যাটালিয়ন (চার্জিং নাইন) এ যোগদান পূর্বক তাঁর সামরিক কর্মজীবন শুরু করেন।

 

সমগ্র কর্মজীবনে তিনি পেশাগত প্রশিক্ষণ ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষা উভয়ই ক্রমাগতভাবে দক্ষতা অর্জন করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি থাইল্যান্ডে স্পেশাল অপস কোর্স, কানাডায় ইউনাইটেড ন্যাশনস ইন্টিগ্রেটেড মিশন স্টাফ অফিসার্স কোর্স (ইউনিমস্ক) এবং যুক্তরাজ্য থেকে ইন্টারন্যাশনাল জয়েন্ট অপারেশনাল প্লানিং কোর্সে কৃতিত্বের সাথে সফলতা অর্জন করেন। ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি, চায়না থেকে মাস্টার্স অব মিলিটারি সাইন্স স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিরপুর (এনডিসি) থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এছাড়াও সফলভাবে পেশাগত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পাশাপাশি তিনি দেশে ও বিদেশে স্ট্যাডি টুর এবং স্টাফ ভিজিটে কৃতিত্বের সাথে অংশগ্রহণ করেন।

 

পরিশ্রমী ও মেধাবী এই অফিসার সামরিক জীবনে বিভিন্ন রেজিমেন্টাল নিয়োগ ছাড়াও একটি ডিভিশন সাপোর্ট পদাতিক ব্যাটালিয়ন (১৯ ইস্ট বেংগল) কমান্ড করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বান্দরবানে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর (বিএম) এবং জেনারেল স্টাফ অফিসার থার্ড গ্রেড (জিএসও-৩) ইন ইন্টেলিজেন্স হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশনে দক্ষতা এবং বিশেষ জ্ঞান থাকায় পরবর্তীতে তিনি ২৪ পদাতিক ডিভিশনের কর্ণেল স্টাফ, জেনারেল স্টাফ অফিসার ফার্স্ট গ্রেড (জিএসও-১) ইন কাউন্টার ইনসার্জেন্সি (সিআই) এবং ২০৩ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি অপারেশনাল কার্যক্রমের পাশাপাশি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ মিরপুর এর জেনারেল স্টাফ অফিসার ফার্স্ট গ্রেড (জিএসও-১) ইন ট্রেনিং এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি) এর ফ্যাকাল্টি অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

 

দেশপ্রেমিক এই অফিসার'কে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিলাইছড়ি জোনের সন্ত্রাস দমন অভিযানে বীরত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করায় সাফল্যের নিদর্শন স্বরুপ 'সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসা পত্র (অপারেশন)' প্রদান করা হয়। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিচালিত অপারেশন দাবানল চলাকালীন বিলাইছড়ি জোনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী গুপ্তাশ্রয়ে সফল হানা পরিচালনার জন্য 'সেনা গৌরব পদক (এসজিপি)' প্রদান করা হয়।

 

তিনি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কুয়েত ও ইরাকে ইউনাইটেড ন্যাশনস পিস কিপিং অপারেশনে (ইউএনআইকেওএম) ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্লাটুন উপ অধিনায়ক হিসেবে নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৮-২০০৯ সাল পর্যন্ত আইভোরিকোস্টে জাতিসংঘ মিশনে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

 

আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি ৭৫ বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের কমান্ড্যান্ট হিসেবে পাইওনিয়ার মেজর জেনারেল পদবিতে গৌরবময় দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

 সুখী পারিবারিক জীবনে তিনি দুই কন্যা এবং এক পুত্রের গর্বিত পিতা।